আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১৫ নং ফুলহরি ইউনিয়নে ইজিপিপি প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। শুধু ফুলহরি নয়, সারা উপজেলার একই চিত্র।

জানা গেছে, প্রায় সব চেয়ারম্যান শ্রমিকদের সিমকার্ড পকেটে পুরে শ্রমিকদের টাকা তুলে নেওয়া ধান্দা করছে। শৈলকুপার ইউএনও ও পিআইও অফিস এ সব দেখেও না দেখার ভান করছে।

তথ্যমতে শৈলকুপার প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা শ্রমিকদের এই টাকায় ভাগ বসায়। যে কারণে তিনি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করেন না। গত ১৪ এপ্রিল থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ ইউনিয়নে কাজ শুরু করতে পারেনি চেয়ারম্যানরা। কাজ না করা দিনগুলোর শ্রমিক হাজিরার টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরৎ যায় কিনা সেটাই দেখার বিষয়। এদিকে প্রায় ১৫ দিন পর গত ২ মে ফুলহরি ইউনিয়নের চারটি স্থানে কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রতিদিন ৪০০ টাকা হাজিরায় সপ্তাহে ৫ দিন কাজ করানোর কথা রয়েছে ১৫৬ জন শ্রমিকের। কিন্তু কাজ করছে মাত্র ৫০/৬০ জন শ্রমিক। এদিকে কর্মসুজনের এই টাকা শ্রমিকের মোবাইলে চলে যাওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ শ্রমিকের সিম কার্ড এখন চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেনের কাছে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শ্রমিকরা। ফুলহরি ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, ফুলহরি সুব্রত শাহার বাড়ির পাশে, ভগবাননগরসহ ৪টি স্থানে কাজ করছে শ্রমিকরা। সরেজমিনে ৩ টা স্থানে গিয়ে দেখা যায় কোথায় ২২ জন, কোথাও ২৫ আর কোথায় ২০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক বলেন গত মঙ্গলবার (২ মে) সকাল থেকে কাজ শুরু হয়েছে। কয় দিন চলবে তা জানিনা। আমাদের সিম কার্ডটি চেয়ারম্যানের কাছে রয়েছে। ফুলহরি ও গোবিন্দপুর গ্রামের স্থানীয় অনেকের (নাম না প্রকাশের শর্ত) সাথে কথা বলে জানা যায়, ২ মে সকাল থেকে তাদের এখানে শ্রমিকরা মাটির কাজ করছে। এর আগে কাজ করেনি আজকেই প্রথম কাজ করছে। শৈলকুপা পিআইও অফিসের মাধ্যমে জানা যায় ইজিপিপি প্রকল্পে ফুলহরি ইউনিয়নে প্রতিদিন ৪০০ টাকা দরে ১৫৬ জন শ্রমিকের ৪০ দিন কাজ করার কথা যা গত ১৪ই এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু অজানা কারণে ১৫ দিন পর আজকে এই ইউনিয়নে কাজ শুরু হয়েছে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা যোগসাজসে এমন কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন জানান, সবাই যেভাবে কাজ করছে, আমিও তাই করছি। পিআইও অফিস যদি কিছু না বলে, না ধরে তবে আপনদের নিউজে তো যায় আসেনা। তিনি বলেন, শৈলকুপার সব চেয়ারম্যানরা বসে যাতে নিউজ না হয় সেই ব্যবস্থা করছি। এদিকে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী বলেন, কাজ তো আগেই শুরু হওয়ার কথা। যদি না হয় তবে কাজের বিল পাবে না। তিনি বলেন, কিছু এলাকা আমি পরিদর্শন করেছি। কোন অনিয়ম পেয়ে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।