আব্দুল্লাহ আল-মামুন : ৩ মে বুধবারের টানা ৩ ঘন্টার বৃষ্টিতে শার্শার বিভিন্ন গ্রামে ফসলের মাঠে পানি জমে গেছে, তলিয়ে গেছে জমির পাকা ধান। এ অবস্থায় ফলন কম হওয়ার পাশাপশি উৎপাদন খরচ উঠবে কিনা সেই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা।
শার্শার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মণ্ডলের কাছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানতে মোবাইল ফোনে বারবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে বিভিন্ন সুত্রের খবরে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১ লাখ ৮০ হাজার বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। কৃষকের ঘরে পৌঁছেছে ৪০ ভাগ জমির ধান। বাকি ৪০ ভাগ কাটা ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বলে সুত্র মতে জানা যায়।
শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আনিসুর রহমান ৬ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ করেছেন। শ্রমিক না পেয়ে সব ধান সময়মত ঘরে তুলতে পারেননি তিনি।
আমাদের প্রতিনিধিকে আনিসুর রহমান বলেন, আমাদের মাঠের ৪০ ইরি-বোরো ধান পানিতে তলায়ে রয়েছে। কেউ কেউ ধান কেটে জমিতে স্তুপ করে রাখছে। সেই স্তুপের অর্ধেক পরিমান ধান বৃস্টির পানিতে ডুবে গেছে। এবারের বৃষ্টিতে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। পুজি হারিয়ে সামনে ফসল করা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়বে।
দক্ষিন বুরুজ বাগান গ্রামের আনারুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকের অভাবে সময় মত জমির ধান কাটতে পারিনি। দুই বিঘা জমির ধান বাড়িতে এনেছি। বাকি ৯ বিঘা জমির ধান পানিতে ভাসছে। কি হবে আল্লাহ ভাল জানেন।
শ্যামলাগাছী গ্রামের আব্দুল মজিদ ছয় বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ৬৫ বছর বয়সী এ কৃষক বলেন, মাঠের ধান এখনও পুরোটা কাটা হলেও বাড়িতে আসেনি। এই বৃষ্টিতে এখন সে ধান পানিতে ভাষছে। বৃষ্টি একদম শেষ করে দিল। কি করব এখন বুঝতে পারছিনে।
কৃষি অফিসের একটি সুত্র জানান স্যারের অনুমতির বাইরে আমরা বক্তব্য দিতে পারি না, তবে ধান দ্রুত পানি থেকে শুকনো স্থানে তুলে মাড়াই করে ঘরে তুলে ফেলতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে এবার শার্শায় প্রায় এক লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সুত্রটি জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.