ডেস্ক রিপোর্ট : টানা ১৯ দিন পর তাপপ্রবাহ দূর হলেও আগামী দুদিনের মধ্যে কমে ফের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রিকে মৃদু, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রিকে মাঝারি ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
দেশের ৮ বিভাগেই ঝড়-বৃষ্টি বেড়ে তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি কমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস ছিল আবহাওয়া বিভাগের। একদিনের ব্যবধানে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে গেছে। রবিবার (২৩ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় সন্দ্বীপে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় মোংলা ও যশোরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার ১২ জেলা ছাড়াও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছিল।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল দেশের ছয় জেলায় (রাজশাহী, পাবনা, যশোর, ফরিদপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া) মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ওই সময় থেকেই দেশ মোটামুটি বৃষ্টিহীন। টানা বৃষ্টি না হওয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে তাপপ্রবাহের মাত্রাও মৃদু থেকে তীব্র হয়। তাপপ্রবাহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্রচণ্ড গরমে চরম দুর্ভোগে পড়ে সারাদেশের মানুষ।ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি ওপরে ওঠে মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয় গত ৭ এপ্রিল। মাঝখানে ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল। গত ১৬ এপ্রিল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেটি গত ৫৮ বছরের মধ্যে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
গত ১৭ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পাবনার ঈশ্বরদীতে। ১৯ ও ২০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনার এ জেলায় টানা অনেকদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়। গত ১৭ এপ্রিল থেকে সিলেটে বৃষ্টি হয়। এরপর দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ঝড়-বৃষ্টি ছড়াতে থাকে। তাপমাত্রাও কমতে থাকে। গত শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টির দেখা মেলে। ঈদের দিনও বৃষ্টি হয় ঢাকায়।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন, রবিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। আগামী দুদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ জানান, আগামী পাঁচ দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.