কলারোয়া, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সর্বপ্রথম রেকর্ড পরিমাণ ডায়রিয়া রোগী ভর্তি। বৈশাখের শুরুতেই তাপ প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে বেড়ে গিয়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা।
৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখন ধারণক্ষমতার অধিক রোগী ভর্তি হয়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যেই দিনের বেলায় বাজার ঘাটে কমে গিয়েছে মানুষ জনের চলাচল । প্রভাব পড়েছে ঈদ বাজারেও।
বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে সকালে মানুষের ব্যাপক ভিড় থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভিড় কমতে থাকে ঈদ বাজারে। পরিবহন চালকরাও জানিয়েছেন তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দিনের বেলায় যাত্রী ও সে রকম দেখা যাচ্ছে না, ঈদ কেন্দ্রিক যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় এখনো দেখা যায়নি যানবাহন গুলোতে। মানুষকে সচেতন থাকতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর (আর এম ও) শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন তাপ প্রবাহের
কারণে কলারোয়া উপজেলায় অন্যান্য বছর থেকে এবছর অধিক হারে ডায়রিয়া রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রায় ৬৫ জন ভর্তি রয়েছে তার ভিতরে ৩০ জনই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। জনসাধারণকে ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাবার এবং শিশুদের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে এবং বাসি পচা খাবার বলতে মোটেও খাওয়া যাবেনা, অতিরিক্ত গরমের কারণে ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে তবে প্রচুর পরিমাণে স্যালাইন পানি,বিশুদ্ধ পানি, এবং ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান সান্টু বলেন ডায়রিয়া ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি রোগ। ইতোমধ্যে কলারোয়ায় এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে এবং কলারোয়া হাসপাতালে ইতোমধ্যে ৩০জন ভর্তি রয়েছে । এবং ২-৩ দিনের ভিতরে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়িতে ও ফিরেছে । কলেরায়া উপজেলা বাসিকে সতর্ক করে তিনি বলেন, সকলেই নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি পান করুন ডাবের পানি খান এবং যে কোন সমস্যা দেখা দিলে ২৪ ঘন্টা হাসপাতাল খোলা সাথে সাথে চিকিৎসা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে দায়িত্বরত এম বি বি এস ডাক্তার, নার্স ,ওয়ার্ড বয় সহ সকলেই ব্যস্ত সময় পার কোরছেন । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ওয়ার্ড বয় জানান, গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের ডিউটি ও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিদিনই ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছে।
এ বিষয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে কথা বললে তারা জানান হঠাৎ করে বমি এবং বার বার পায়খানা হওয়ার কারণে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিলে আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এখন আমি কিছুটা সুস্থ আছি। রোগী আরো বলেন সরকারি হাসপাতাল হিসেবে আমরা যে সেবা পেয়েছি এতে আমরা অনেক খুশি। তবে রুগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় অনেকের ফ্লোরে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.