ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ হুন্ডি কাজলের মতো ব্যবসা করতে চেয়েছিল সাইদুর রহমান মিলন। এ জন্য তিনি বহু মানুষের কাছ থেকে টাকাও নিয়েছিলেন।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি প্রতারণার আশ্রয় গ্রহন করেন। ব্যবসার জন্য টাকা ধার নিয়ে উল্টো পাওয়ানাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পাওয়নাদারকে সুদে ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে হেনস্তা করতে থাকেন। ঘটনাটি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার।

কোটচাঁদপুর থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার গাবতলাপাড়ার শরিফুল ইসলামের ছেলে সাইদুর রহমান মিলন প্রতিবেশি হওয়ায় সুযোগ নিয়ে ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী মোঃ বাকেরুজ্জামান সরকারের কাছ থেকে ২০১৯ সালে ১৭ লাখ টাকা ধার নেন। কথা ছিল ৬ মাসের মধ্যে উক্ত টাকা পরিশোধ করে দিবেন। কিন্তু তিনি টাকা পরিশোধ না করে প্রতারণা ও ছলচাতুরির আশ্রয় গ্রহন করেন। একই ভাবে এই সাইদুর রহমান মিলন আদর্শপাড়ার শাহজাহান আলী, মেইন বাসস্ট্যান্ডের চায়ের দোকানদার আবদুল আজিজ ও রূপালি ব্যাংকের এক ম্যানেজারসহ বহু ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ধার নেয়। সবার টাকা পরিশোধ করলেও একান্তু প্রতিবেশি হওয়ায় বাকেরুজ্জামান সরকারের টাকা পরিশোধ না করে টালবাহানা করতে থাকেন। টাকা না পেয়ে আদালতের দারস্থ হন বাকের। মামলাটি বিচারের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, এ নিয়ে বহু সালিশ দরবারও হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড শফিকুল আজম খান চঞ্চল ও উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকির কাছে বাকেরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাইদুর রহমান মিলন অভিযোগ করেন। তাদের কাছে পাত্তা না পেয়ে মিলন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া ও মিথ্যা কাহিনী ছড়িয়ে দেন। বাকের অভিযোগ করেন, টাকার জন্য মামলা করায় বিবাদী মিলন সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। তিনি আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করিবার উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট কনটেন্ট প্রচার করছেন। এ ঘটনায় বাকের কোটচাঁদপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি তদন্তের জন্য থানার এসআই শামছুল ইসলামকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে বাকের জানান।

এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানার ওসি মোঃ মঈন উদ্দীন জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয় বিষয়টি মিমাংশার জন্য আমার মাধ্যমে বাকেরুজ্জামানকে সংবাদ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন কি পর্যায়ে আছে তা আমি জানি না। তবে বাকেরুজ্জামান একটি অভিযোগ দিয়েছেন, যা তদন্তাধীন আছে।