স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঝিকরগাছা বদরুদ্দীন মুসলিম (বিএম) হাইস্কুলের কোচিং বানিজ্যের বিষয়ে বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রচারের পরে নড়েচড়ে বসেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ।কোচিং বাণিজ্যকে বৈধ করতে তিনি অভিনব কায়দায় অভিভাবকদের নিকট হতে লিখিত আবেদন পত্র সংগ্রহ করছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
দেশের প্রতিটি প্রাথমিক ও হাইস্কুলে ইংরেজী সনের ১ম দিন থেকে নতুন বছরের ক্লাস শুরু হয়। নতুন ক্লাসে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কোচিং বা প্রাইভেট পড়ানোর সরকারি নীতিমালা আছে। কিন্তু এখন স্কুল গুলোতে বাধ্যতামুলক ভাবে সকল শিক্ষার্থীদের উপর কোচিং চাপিয়ে দেওয়া হয়। যার কারণে শিক্ষার্থীদের পরিবারকে মাস গেলে গুনতে হয় কাঁড়ি কাড়ি টাকা।
বছরের ৩ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর বিগত ২৭ মার্চ বিএম স্কুলের শিক্ষার্থী অনি রায় কোচিং ক্লাসে সহপাঠি দ্বারা নির্যাতিত হয়ে বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করলে এই বিষয়ের উপর স্থানীয় সংবাদকর্মীরা যখন কোচিং বানিজ্যের উপর সংবাদ প্রকাশ করলো ঠিক সেই সময় প্রধান শিক্ষক এই অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছেন। কোচিং বানিজ্যের অভিযোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ৪ মাসের মাথায় আজ বুধবার (৬ এপ্রিল) সকালে প্রধান শিক্ষক স্কুলে উপস্থিত না থাকলেও অন্যান্য শিক্ষকদের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীর নিকট কোচিং করানোর জন্য অভিভাবক কতৃক প্রতিষ্ঠানের নিকট আবেদনের কপি ধরিয়ে দিয়ে বাড়ি হতে পূরণ করে আনার জন্য বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, সরকার ঘোষিত রোজার বন্ধের মধ্যে আমাদের কোচিং ক্লাস চালু আছে। আজ স্কুল থেকে আমাদের নিকট একটি আবেদনপত্র দিয়েছে। সেটা পূরণ করে স্কুলে জমা দিতে হবে।
এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ বলেন, আমি স্কুলে ছিলাম না তাই বলতে পারবো না। তবে আবেদন প্রতিবারই নেওয়া হয়। আমি কাল স্কুলে গেলে বলতে পারবো।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.