মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের শিবচরে এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে শিবচর ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রবিবার সকালে শিবচরের কুতুবপুরে যাত্রাবাড়ী-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক।

দুর্ঘটনার বিষয়ে মাদারীপুর রিজিওনের ডিআইজি সালমা বেগম জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি বাসটির ওভার স্পিডের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। অতিরিক্ত গতির কারণে প্রথমে বাসটির ডান পাশের চাকা ফেটে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়। পরে এক্সপ্রেসওয়ের ১০০ মিটার উঁচু থেকে উড়ে এসে নিচের সার্ভিস লেনের ব্রিজে সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে এখন পর্যন্ত নারীসহ ২০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৮ জন। এদিকে, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশ তদন্ত করবে।

শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক। তিনি বলেন, রবিবার (১৯ মার্চ) সকালে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১৪ জন নিহত হয়। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ৬ জন মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এ সময় বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত বাসের মধ্যে থেকে বেশ কয়েকজন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন বলেন, যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনার বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) পল্লক কুমার হাজরাকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই কমিটিতে জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা থাকবে। আগামী দুই কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে দুর্ঘটনা অনুসন্ধান করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।