আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩২৬ জনে। মঙ্গলবার রাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে নিহতের এই সংখ্যা তুলে ধরেছে।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পে দেশটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৫৪৪ জন।

সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭৮২ জন নিহতের কথা জানা গেছে।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৪৪ জনে। অপরদিকে সিরিয়ায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ১ হাজার ২০ জন বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর বাসিন্দা বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল হোয়াইট হেলমেটস। আর সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোয় ৮১২ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা।

তুরস্কের সরকার, হোয়াইট হেলমেটস ও সিরীয় রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, দুই দেশে ভূমিকম্পে আহতের সংখ্যা অন্তত ৩০ হাজার ৪৭৪ জন।

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি’র প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

মঙ্গলবার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের দশটি প্রদেশে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ভূমিকম্পে উভয় দেশে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ২৩ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে। এছাড়া সংস্থাটির পূর্বাভাসে সতর্ক করে বলা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।

ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজে সহযোগিতার জন্য তুরস্ক ও সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।

সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানে ভূমিকম্পটি। এর পর থেকে দফায় দফায় আরও কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছে। এতে দুই দেশে ধসে পড়েছে হাজার হাজার ভবন। এসব ভবনের নিচে আটকা পড়েছে বহু মানুষ। তাদের উদ্ধারে চেষ্টা করে যাচ্ছেন উদ্ধারকারী ও সাধারণ মানুষ। তবে উদ্ধারকাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র ঠান্ডা, তুষারপাত ও বৃষ্টি।

মঙ্গলবারও তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে নতুন আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানা যায়নি। দেশটির এ দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ১০টি শহরে তিন মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।