সাঈদ ইবনে হানিফ : রাশিয়ার পতাকাবাহী ৬৯টি পণ্যবাহী জাহাজকে বাংলাদেশের কোনো সমুদ্রবন্দরে না ভেড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ঘিরে রাশিয়ার ওই জাহাজগুলোকে আগেই নিষিদ্ধ করে যুক্তরাষ্ট্র। জটিলতা এড়াতে বাংলাদেশও জাহাজগুলোকে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একসঙ্গে এত জাহাজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এই প্রথম বাংলাদেশের। সূত্র টুইটার থেকে।

এসব জাহাজকে শুধু বন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাই নয়, একই সঙ্গে জ্বালানি তেল সরবরাহ (বাংকারিং), ‘রিফুয়েলিং’ সাময়িক নিবন্ধন থেকে শুরু করে সব ধরনের পরিষেবা প্রদান থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উরসা মেজর’কে ঘিরে যে ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, তা যেন আর না হয় সে জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে।গত মাসে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ ‘উরসা মেজর’ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরঞ্জাম নিয়ে বাংলাদেশ জলসীমায় ঢুকতে গেলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের নজরে পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়, ‘উরসা মেজর’ জাহাজটি আসলে তাদের নিষিদ্ধের তালিকায় থাকা জাহাজ ‘স্পার্টা’। নিষেধাজ্ঞার পর ‘উরসা মেজর’ নামে নিবন্ধন নিয়ে সেটি চলাচল করছে। পরে ওই জাহাজ বাংলাদেশে ঢুকতে না পেরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হালদিয়া সমুদ্রবন্দরে ভেড়ে। সেখানে জাহাজ থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরঞ্জাম বাংলাদেশে আনা হচ্ছে।