নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী। শনিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তারা নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

এই তিন প্রার্থী হলেন—জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় এই আসনে উপনির্বাচনে বিএনপির দলছুট নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞাসহ পাঁচজন প্রার্থী নির্বাচনে লড়বেন।

এদিকে স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় উকিল আবদুস সাত্তারের জয়ের পথ অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। এখন তার সঙ্গে এই উপনির্বাচনে থাকা অন্য প্রার্থীরা হলেন—জাতীয় পার্টির দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা, দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আবদুল হামিদ ভাসানী, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ এবং জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম।

১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে দলটির সাত এমপি একযোগে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। দলের সিদ্ধান্ত মেনে গত ১১ ডিসেম্বর তারা জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন উকিল আব্দুস সাত্তারও।

পরে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ ছেড়ে ২৯ ডিসেম্বর রাতে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপরই নিজের ছেড়ে দেওয়া আসনে উপনির্বাচনে অংশ নিতে অনেকটা আকস্মিকভাবেই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এ ঘটনায় বিএনপি দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে উকিল আব্দুস সাত্তারকে বহিষ্কার করে। নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এই উপনির্বাচনে প্রবীণ রাজনীতিবিদ আবদুস সাত্তারের বিপরীতে শক্তিশালী কোনো প্রার্থী না থাকায় তিনি সহজেই জয় পাবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ইভিএমে এই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।