সানজিদা আক্তার সান্তনা : শীত যেন কমছেই না যশোরে। টানা শৈত্য প্রবাহের মাঝে রয়েছে যশোর জেলা। গত পাঁচদিনের মতো শুক্রবারও ছিলো শীতের তীব্রতা। সকালে কনকনের শীতে বাইরে বের হওয়ার জো ছিলো না। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের দেখা মেলে। কিন্তু শীতের পরশ থেকেই যায়। দুপুরে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও বিকেল হওয়ার সাথে সাথে শীত আবার জেঁকে বসে।
যশোর বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে যশোরে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বৃহস্পতিবার ছিলো ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক ডিগ্রি বাড়লেরও বোঝার উপায় ছিলো না। আবহাওয়া অফিসের ভাষ্যমতে আরো দুই একদিন শীতের তীব্রতা বিরাজ করবে যশোরে।
গত কয়েকদিনের মতো সকালে ছিলো ঘন কুয়াশা। সেই সাথে মৃদু বাতাস। মূলত বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভূত হয়। দুপুরে ঘন কুয়াশা কমলেও বিকেল হওয়ার সাথে সাথে ঘন কুয়াশা লক্ষ্য করা যায়। ফলে শীত ফের সকালের মতো অনুভূত হতে থাকে।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মানুষ জনের চলাচল এমনিতেই কম ছিলো। শীতের কারণে আরে বেশি কম লক্ষ্য করা যায়। বরাবরের মতো যশোরে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ছুটির দিন হওয়ায় মানুষজনের উপচে পড়া ভিড় ছিলো যশোর কালেক্টরেট মার্কেট ও ইনস্টিটিউট সুপার মার্কেটে। মূলত এই দুই মার্কেটে বেশি গরম কাপড় বিক্রি হয়ে থাকে। দামও থাকে তুলনামূলক কম। ফলে সাধারণ মানুষের ভিড় ছিলো লক্ষ্যণীয়। বাজারঘাট গুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মূলত শীতের সবজিতে ছিলো বাজারঘাট ভরপুর। শহরের অলিগলিতে বিক্রি হতে দেখো গেছে শীতের পিঠা নানা ধরনের শীতের পিঠা বিক্রি হয়েছে মৌসুমী দোকান গুলোতে। শহরের বিভিন্ন মোড়ে পিঠাপুলির দোকান গুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এছাড়া শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন পিকনিক স্পট গুলোতে ছুটির দিনে বিভিন্ন উৎসব হতে দেখা গেছে। শহরতলীর বিভিন্ন কফিসপ গুলো ছিলো সরগরম। সেখানে শীতের প্রধান উপাদান খেজুরের কাঁচা রসও বিক্রি হতে দেখে গেছে। প্রত্যেক লিটার খেজুরের রস বিক্রি হয়েছে একশ’ টাকা করে। প্রত্যেক গ্লাস রস বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। শীতের তীব্রতা অব্যহত থাকলে খেজুরের রস বিক্রি কফিসপ গুলোতে অব্যহত থাকবে বলে দোকানীরা জানিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.