সাঈদ ইবনে হানিফ, বাঘারপাড়া: যশোরের বাঘারপাড়ায় আদালতের স্থিতাবস্থা অমান্য করে অসহায় একটি পরিবারের রোপনকৃত লিচু বাগান দখলের চেষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের মারধরের শিকারও হয়েছেন ভুক্তভোগী ওই পরিবার। এমনকি জমির পাশ্বে টং ঘর নির্মাণ করে সন্ত্রাসী কায়দায় পাহারা দিচ্ছে প্রতিপক্ষরা।
অভিযোগ উঠেছে, আদালতের স্থিতাবস্থা উপেক্ষা করেই ভুক্তভোগীর লিচু বাগান বেড়া দিয়ে আটকিয়ে সুপারি, লেবুর চারা ও খেড়গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা কীটনাশক প্রয়োগ করে মেরে ফেলেছে।
জানা গেছে, বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর বলরামপুর মৌজায় আর এস খতিয়ান নং ১৮৯, দাগ নং ৪১৪, জমির পরিমান ৪১ শতাংশ জমি প্রায় আড়ায় বছর ধরে ভোগদখল করে আসছেন পাঁচবাড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেন মোল্যার ছেলে হাসমত আলী নামে এক ব্যক্তি। সেখানে ৩২ টি লিচু, ৩৯ টি লেবু লাগানো ছিল।
তবে কয়েক মাস আগে হঠাৎ করে বলরামপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস, রেজাউল করিম, মহুয়া খাতুন , বাবু, রোস্তম আলী ও পাঁচবাড়িয়া গ্রামের শহিদুল্্যাহ নামে কয়েক জন ভূমি দখলবাজ মালিকানা তাদের বলে দাবি করেন।
১৫ ডিসেম্বর সকালে প্রতিপক্ষরা কীটনাশক (ঘাস মারা) প্রয়োগ করে সুপারি, নারিকেল, লেবুর চারা, খড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা মেরে ফেলে।
এদিকে বিরোধপূর্ণ ওই জমি নিয়ে যশোর সহকারি জজ আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ৭১/২০২২ বিচারাধীন আছে। গত ২২ আগষ্ট এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ৭৫ নং উত্তর বলরামপুর মৌজায় আরএস-১৮৯ নং খতিয়ানের ৪১ শতাংশ জমির ওপর আদালত স্থিতাবস্থা জারি করেন।
আদেশে আদালত উক্ত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত, ওই সম্পত্তিতে বিবাদীগণের কোনো প্রকার প্রবেশাধিকার ও নির্মাণ কাজ এবং জমি হস্তান্তর না করার নির্দেশ দেন। তবে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ওই জায়গা গাছ কাটা ও বেড়া দিয়ে পথ আটকিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী হাসমত আলী বলেন, ‘ক্রয় সূত্রে ৪১ শতাংশ জমি আমি আড়ায় বছর যাবৎ ভোগদখল করছি। কিন্তু স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুস, রেজাউল করিমসহ কয়েকজন ব্যক্তি সেখান থেকে জমি দখলের চেষ্টা করছেন আর বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ব্যাপারে আদালত থেকে আমাদের ৪১ শতাংশ জমির মধ্যে তাদের না ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু এরপরও তারা আইন অমান্য করে অবৈধভাবে আমাদের জমি জবর দখলের চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঐ জায়গার মালিক বলে দাবি করেন। আমার জায়গায় আমি ঘাস মারা ঔষধ দিয়ে খড় পরিষ্কার করছি। আমার ও জমির কাগজপত্র আছে।
বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.