নিজস্ব প্রতিবেদক : সকল জল্পনা কল্পনার অবসান শেষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সভাপতি পদে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরই পুনর্নির্বাচিত হলেন।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন দলটির নেতৃত্বের ভার শেখ হাসিনা ও কাদেরের ওপরই থাকল। তারা ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করবেন।

ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শনিবার বিকাল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে তাদের নির্বাচিত করা হয়।

কাউন্সিল অধিবেশন শুরুর পর ৮ বিভাগের ৮ জন কাউন্সিলর বক্তব্য দেন। এছাড়া সংশোধিত ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র ও কোষাধ্যক্ষের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। সেগুলি কাউন্সিলরদের কণ্ঠভোটে পাশ হওয়ার পর দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সমাপনী বক্তব্য দেন।

কাউন্সিল অধিবেশনের শেষ পর্বে রেওয়াজ অনুযায়ী দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এরপরই মঞ্চে আসেন তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন।

দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের অপর দুই সদস্য দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মসিউর রহমান ও সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু সভাপতি পদে আবারও শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। তাতে সমর্থন দেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান।

অন্য কোনো নামের প্রস্তাব না থাকায় ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শেখ হাসিনাকে টানা দশমবারের মতো সভাপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

নির্বাচন কমিশনের সামনে সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন দলের নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার। দলের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ তাতে সমর্থন দেন।

এই পদের জন্যও অন্য কোনো নামের প্রস্তাব আসেনি। ফলে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরকেই নির্বাচিত ঘোষণা করেন। টানা তৃতীয় বারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে হ্যাটট্রিক করলেন ওবায়দুল কাদের।

এর আগে সকালে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা উড়িয়ে আওয়ামী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলরসহ ২৫ হাজার ডেলিগেট অংশ নেন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, আমন্ত্রিত অতিথি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও যোগ দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেবার টানা নবমবারের মতো শেখ হাসিনা সভাপতি আর দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের।