ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ শহরের ব্যস্ততম সড়কে কড়াই গাছের বড় বড় ডাল কেটে ফেলা রাখা হয়েছে। সড়কের প্রায় অর্ধেক জুড়ে গাছের ডাল বিপজ্জনক অবস্থায় রাখা হয়েছে। প্রায় দেড় মাস ধরে প্রধান সড়কের উপর এই ডাল পড়ে থাকলেও ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের কর্তা ব্যাক্তিদের নজর নেই। ফলে যান চলাচল ও পথচারীরা চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। অনেক সময় ঘটছে দূর্ঘটনা।
কর্তৃপক্ষ বলছেন গাছের কাটা ডালের মুল্য নিদ্ধারন কাজের জন্য ওই স্থানে ফেলে রাখা হয়েছে। মুল্য নিদ্ধারন শেষে এগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে। যতক্ষন মুল্য নিদ্ধারন কাজ শেষ না হচ্ছে ততক্ষন সরানো যাচ্ছে না। আর এই কাজে একটু বিলম্ব হওয়ায় ডাল সরানো সম্ভব হয়নি। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের সরকারি কবরস্থান এলাকায় হামদহ-পায়রাচত্বর সড়কের উপর একটি বড় কড়াই গাছ ছিল। এই গাছের ডাল শুকিয়ে যাওয়ায় ঝিনাইদহ জেলা পরিষদর শুকনা ডালগুলো কেটে ফেলে। কাটা ডালগুলো সড়কের উপরেই ফেলা রয়েছে। গত নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে গাছের ডালগুলো কাটা হয়। কাটার পর ডালগুলো যেভাবে রাস্তার উপর পড়েছিল ঠিক সেভাবেই রাখা হয়েছে।র্ দেড় মাস অতিবাহিত হলেও সড়কের উপর থেকে ডাল সরানো হয়নি। এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালেক জনান, ঝিনাইদহ শহরের অতি ব্যস্ত সড়ক এটি। শহরের বাস ট্রার্মিনাল থেকে শহরের ভেতর দিয়ে পায়রা চত্বর হয়ে হাটের রাস্তা পেরিয়ে হামদহ বাইপাসে মিশেছে সড়কটি।এই সড়কেই রয়েছে সরকারী হাসপাতাল ও সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়। রাস্তার উপর গাছের ডাল পড়ে থাকায় মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। ইজিবাইক চালক নাসির উদ্দিন জানান, এই স্থানে এসে মাঝে মধ্যেই তারা ঝুঁকির মধ্যে পড়েন। পাশ দিয়ে একটা যানবাহন চলে এলে ডাল ফেলে রাখা যায়গাটি পার হওয়া মুশকিল হয়ে যায়। স্থানীয় দোকানদার মোঃ রাসেল হোসেন জানান, দেড় মাসের অধিক সময় হয়েছে গাছের ডালগুলো কাটা হয়েছে। এই ডালের কারনে সড়কটি দিয়ে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাচল বিঘœ হচ্ছে। তারপরও কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ নেই। অথচ প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ ঝুকি নিয়ে পথ চলছেন। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, গাছের ডালগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় তারা কেটেছেন। এগুলো পথচারীদের জীবনের ঝুঁিক হয়ে পড়েছিল। কাটার পর মুল্য নিদ্ধারনের কাজ চলছে। মুল্য নিদ্ধারন হয়ে গেলেই ডালগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে। এই জন্য একটু সময় লাগছে। তবে ২ থেকে ৪ দিনের মধ্যে সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.