গাজী আনোয়ার হোসেন : সম্প্রতি বন্দর নগরী বেনাপোলে অবস্থিত তনিমা পেট্রোল পাম্প শার্শার বসতপুর গ্রামের জামাল ও আনোয়ারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, তনিমা পেট্টল পাম্পের প্রকৃত মালিক শার্শার নাভারণ – সাতক্ষীরা মোড়ের প্রয়াত লতিফ মিয়ার পুত্র গোলাম কিবরিয়া । গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যুর পর তার ওয়ারেশ গণ পৈত্রিক সূত্রে ঐ জমি ও পাম্পের মালিক তার ১ মেয়ে ও তিন ছেলে । তাদের একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানও আছে ।
আরও জানা য়ায়, দীর্ঘদিন যাবত শার্শার বসতপুর গ্রামের জামাল হোসেন ও তার ভাই আনোয়ার পাম্পটি দখল করে নেওয়ার জন্য একটি অপশক্তি ষড়যন্ত্র করে আসছে । তারা সুযোগ বুঝে গত ২৮-১১-২০২২ তারিখে দুপুর সাড়ে ১২টার সময় জামাল ও আনোয়ারের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের অজ্ঞাত সন্ত্রাসী নিয়ে অস্ত্র, গাছি দা , লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মেসার্স তনিমা ফিলিং স্টেশন- এর পার্শ্বে জড় হতে থাকে, বিষয়টি উক্ত পাম্পের ম্যানেজার জানতে পারলে মালিককে খবর দেয় , তাৎক্ষনিক মালিকগণ ঘটনা স্থলে হাজির হয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ যথা সময় হাজির না হওয়ার সুযোগে অবৈধ দখলদাররা উক্ত পাম্পের ম্যানেজারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রতিষ্ঠানটি দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন ও পাম্পের ক্ষতি সাধন এবং ক্যাশে থাকা অর্থ লুট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার জানান, সন্ত্রাসীরা কেন পাম্প দখল করতে আকর্ষিকভাবে লোহার রড, গাছি দা দিয়ে পাম্পের মালিকদেরকে মারধর করেন, মালিক গণ, মারাত্বক জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, সাধারনের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে য়ায় । পরে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে আসে । কিন্তু বিষয়টি নিয়ে শার্শার বসতপুর গ্রামের জামাল ও আনোয়ার বলছেন ভিন্ন কথা, তারা বলছেন, মৃত্যু গোলাম কিবরিয়ার নিকট থেকে এক কোটি তেইশ লাখ টাকা দিয়ে উক্ত সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। সেই সূত্রে মালিকানা দাবী করেন । এই বিষয়ে জামাল ও আনোয়ার যশোরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন উক্ত সম্পদ ফিরে পাবার আশায় ।
এখন প্রশ্ন উঠেছে গোলাম কিবরিয়া মারা যাওয়ার পর ঐ সম্পদ দখল করতে আসচ্ছেন কেন ? বেঁচে থাকাকালিন কেন -পাম্পের মালিকানা দাবি করেনি তারা । এখন কেন আসচ্ছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন । বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। ঐ সম্পদ ও পাম্প আদালতে বিচারাধীন। আদালত অস্থায়ী ইনজেংশন জারি করেন ।
জানা যায়, পাম্পের লাইসেন্সসহ উক্ত জায়গার প্রকৃত মালিক গোলাম কিবরিয়া তিনি পদ্মা ওয়েল এর নামে উক্ত পাম্প ও জায়গা জামানত হিসেবে হস্তান্তর করেন লিখিত ভাবে, উল্লেখ্য যে, গোলাম কিবরিয়া ও তার ওয়ারেশগণ ঐ সম্পদ ভোগ দখল করতে পারবে কিন্তু বিক্রয় ও হস্তান্তর করতে পারবেন না । উক্ত প্রতিষ্ঠানের সমদুয় সম্পদ মেঘনা কর্পোরেশন এর নিকট দায়বদ্ধ থাকবে, এখন প্রশ্ন হলো কার নিকট থেকে উক্ত সম্পদ ক্রয় করচ্ছেন জামাল ও আনোয়ার গং । দস্যুতা ও অপশক্তির জোরে উক্ত মেসার্স তনিমা ফিলিং ষ্টেশন জোর পূর্বক দখল করতে যাবে কেন? দেশে আইন আদালত আছে। বিষয়টি এখন লোক মুখে মুখে।
বর্তমানে গোলাম কিবরিয়ার পরিবার ও পরিজন ভিষণভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভূচ্ছেন । জানমাল রক্ষার্থে বিষয়টি যশোর পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী । এরই মধ্যে গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যু হওয়ায় তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার, ছেলে ফাইজার কিবরিয়া, ফারদিন কিবরিয়া ও মেয়ে তনিমা তাসনুভা পাম্পটি নিজেদের দখলে রেখেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.