রান্নবান্না ডেস্ক : অনেককেই সংসার ও অফিস এক হাতেই সামলাতে হয়। ফলে হেঁশেলের কাজ করার মতো সময় অনেকের হাতেই থাকে না। সময় ও শ্রম এ দুই-ই বাঁচাতে একবারে রান্না করে রাখেন অনেকেই। এতে বাড়তি সময়ও লাগে না। ঝক্কিও কম। খাওয়ারের আগে শুধু গরম করে নিলেই হল। ‘জার্নাল অব এগ্রিকালচার ফুড অ্যান্ড কেমিস্ট্রি’-র একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বেশ কিছু খাবার বার বার গরম করা ঠিক নয়। তাতে খাবারের পুষ্টিগুণ তো চলে যায়ই, সেই সঙ্গে খাবারের স্বাদও নষ্ট হয়ে যায়।
মুরগির মাংস
মুরগির মাংস বেশি পরিমাণে রেঁধে ভাবছেন পরের দিন গরম করে খাবেন? এই ভুল না করাই ভাল। মুরগির মাংস গরম করার সময়ে প্রোটিনের গঠন খানিকটা বদলে যায়, যা খেলে বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। একান্তই মাংস বেশি পরিমাণে রেঁধে ফেললে ফ্রিজ থেকে বার করে ঘরোয়া তাপমাত্রায় রেখে খান।
আলুর তরকারি
সকালে লুচির সঙ্গে রান্না করা আলুর তরকারি অনেকটা বেঁচে গিয়েছে। ভাবলেন রাতে রুটির সঙ্গে এই তরকারি দিয়েই চালিয়ে দেবেন। এতে সময় হয়তো বাঁচবে, কিন্তু সমস্যা হতে পারে। আলুর তরকারি বার বার গরম করে খাবেন না। এতে আলুর যে নিজস্ব পুষ্টিগুণ, তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। গরম করা আলুর তরকারি খেলে পেটের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
শাক
পুঁইশাক, পালংশাক, লালশাক— কোনও ধরনের শাকই দ্বিতীয় বার গরম করা উচিত নয়। শাকপাতায় নাইট্রেট থাকে। রান্না করা শাকের তরকারি পুনরায় গরম করা হলে ওই নাইট্রেট থেকে নাইট্রোস্যামাইন নামের এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয়, যা শরীরের ক্ষতি করে।
ডিম
ডিমের ঝোল, ডিম কষা, ডিম সেদ্ধ বা অমলেট, কোনওটিই গরম করে খাওয়া ভাল নয়। কারণ ডিম দ্বিতীয় বার গরম করলে তার প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায় এবং ডিমের মধ্যেই নানা ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া জন্মায়। এই ব্যাক্টেরিয়া পেটে গেলে শরীর খারাপ হতে পারে।
ভাত
সময় এবং গ্যাস বাঁচাতে অনেকেই দু’বেলার ভাত একসঙ্গে করে রাখেন। গ্যাস থেকে নামানোর পরে ভাত যদি ঘরের তাপমাত্রাতেই রেখে দেওয়া হয়, তা হলে ভাত ঠান্ডা হয়ে গেলে নানা ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে শুরু করে। সেই ঠান্ডা হওয়া ভাত যদি আবার গরম করা হয়, তবে ব্যাক্টেরিয়াগুলির ক্ষতিকারক প্রভাব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.