যশোর অফিস : যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। মঙ্গলবার রাতে যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। আজ মঙ্গলবার
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘আগামী ২৪ নভেম্বর যশোর শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভা কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে পাল্টা কোনো কর্মসূচি নয়। আমরা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি বলেই এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।’
আজ মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল যশোরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় নানক আরও বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচন দেশবাসীর কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ; তেমনি দলীয়ভাবেও আওয়ামী লীগের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২৪ নভেম্বর যশোর শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে শহরজুড়ে চলছে মাইকিং। আজ শনিবার সন্ধ্যায় শহরের মাইকপট্টি এলাকায়
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই জনসভা শুধু স্টেডিয়ামের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকবে না; সমগ্র যশোর শহরেই একটি জনসভাস্থলে রূপ নেবে। এই জনসভা আওয়ামী লীগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২৭ মাস পর জনগণের সামনে সরাসরি কোনো জনসমুদ্রে উপস্থিত হবেন।
সেখানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী আবহাওয়া নিয়েই যশোর দিয়ে শেখ হাসিনার নির্বাচনী জনসভা শুরু হচ্ছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সারহান নাসের প্রমুখ।
এদিকে জনসভা ঘিরে বর্ণিল সাজে সেজেছে যশোর। প্রধানমন্ত্রীর যাওয়া-আসার রাস্তা বাদ রেখে শহরের অন্যান্য সড়কে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। শহরের দড়াটানা মোড়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ম্যুরাল চত্বর, গরিবশাহ সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টার টাঙিয়েছেন দলীয় নেতারা।