ক্রীড়া ডেস্ক : কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা শ্রমিকদের। যাদের শ্রম, ত্যাগে বাস্তব রূপ পেল বিশ্বকাপ, সেই শ্রমিকদের নিয়ে ভিন্ন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো কাতার। 'ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া ফ্যান জোনে' বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটি একত্রে উপভোগ করেন হাজারো প্রবাসী শ্রমিক।
ফ্যান জোনে থাকা পুরুষদের প্রায় বেশিরভাগই ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার কর্মী। বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফ্রিকার কর্মীই ছিল বেশি। বিশ্বকাপ সফলভাবে মাঠে গড়ানোর পেছনে তাদের প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো অবদান রয়েছে।
সারাবিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের মতো তারাও বুঁদ হয়েছিলেন খেলার ভেতরে। অনেকেই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ দেখার জন্য ছুটি নিয়েছেন আবার অনেকেই কাজ শেষ করে দ্রুত চলে আসেন ফ্যান জোনে।
ফ্যান জোনে সকলের সঙ্গে একত্রে খেলা উপভোগ করেন বাংলাদেশের মোহাম্মদ হোসেন। বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটি অবকাঠামো প্রকল্পের অংশ ছিলেন তিনি। সবার সঙ্গে খেলা দেখতে পেরে খুশি হোসেনও।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি বলেন, 'ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বকাপের অংশ হতে পারাটা আমার জন্য বড় ব্যাপার। প্রথমবার একটি মুসলিম দেশ এর আয়োজন করছে। কখনো ভাবিনি এমন গুরুত্বপূর্ণ কিছুর অংশীদার হব। আমার জীবদ্দশায়, আমার দেশের বিশ্বকাপে খেলা বা আয়োজন করার সুযোগই নেই।'
ভারতের পিটার বলেন, 'এখন যেমন মেট্রো বা বাস দেখছেন রাস্তায়, কাতারে এমনটা ছিল না। বিশ্বকাপ না হলে এইসব দালান, হাইওয়ে ও সড়কের হয়তো অস্তিত্বই থাকত না। আমি খুবই খুশি, আমরা (প্রবাসী শ্রমিক) বড় দায়িত্ব পালন করেছি।
খেলা শুরু হওয়ার আগেই শ্রমিকরা ফ্যান জোনে ভিড় জমাতে থাকেন। প্রাণবন্ত পরিবেশে সুস্বাদু বিরিয়ানির সুগন্ধ এক ভিন্ন পরিবেশের সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু খেলা শুরুর পর থেকেই তাদের পুরো মনোযোগ চলে যায় বড় পর্দায়। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে কাতারের পক্ষেই ছিল তাদের সমর্থন। যদিও পরাজয়ের স্বাদ নিয়েই প্রথম ম্যাচ উপভোগ করতে হয়েছে তাদের।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.