সানজিদা আক্তার সান্তনা : আজ রোববার শুরু হওয়া এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে যশোর শিক্ষা বোর্ডে ১৯০৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। অনুপস্থিতির এই হার ১ দশমিক ৯২ শতাংশ। প্রথম দিনের পরীক্ষায় কেউ বহিষ্কার হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বোর্ডের মোট ১ লাখ ৭০৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের পরীক্ষার্থী ছিল ৯৯ হাজার ২৩৬ জন। এরমধ্যে ২২৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৯৭ হাজার ৩৩২ জন। অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ৯০৪ জন পরীক্ষার্থী । এরমধ্যে মধ্যে খুলনার ৪৪ টি কেন্দ্রে ২০ হাজার ৫৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত ছিল ১৯ হাজার ৭৮৪ জন। অনুপস্থিত ছিল ২৭৫ পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিতির হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বাগেরহাটের ২০ টি কেন্দ্রে ৬ হাজার ৯১৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত ছিল ৬ হাজার ৭৯১ জন। অনুপস্থিত ছিল ১২৪ জন পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিতির হার ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। সাতক্ষীরায় ২৩ কেন্দ্রে ১১ হাজার ৭১৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত হয় ১১ হাজার ৪৫৩ জন। অনুপস্থিত ছিল ২৬৫ জন পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিতির হার ২ দশমিক ২৬ শতাংশ। কুষ্টিয়ার ২২ টি কেন্দ্রে ১১হাজার ৮৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত হয় ১০ হাজার ৯০৪ জন। অনুপস্থিত ছিল ১৮১ জন পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিতির হার ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। চুয়াডাঙ্গার ১১ টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৭৮১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত হয় ৫ হাজার ৬৪২ জন। অনুপস্থিত ছিল ১৩৯ জন পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিতির হার ২ দশমিক ৪০ শতাংশ। মেহেরপুর ৭ টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৫০৬ ৮৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত হয় ৩ হাজার ৪১৪ জন। অনুপস্থিত ছিল ৯২ পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিতির হার ২ দশমিক ৬২ শতাংশ। যশোর ৪৫ টি কেন্দ্রে ১৮ হাজার ২১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত হয় ১৭ হাজার ৭২৭ জন। অনুপস্থিত ছিল ২৯৪ জন পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিতির হার ১দশমিক ৬৩ শতাংশ। নড়াইল ১১ টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৬৩৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত হয় ৪ হাজার ৫৩৬ জন। অনুপস্থিত ছিল ৯৯ জন পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিতির হার ২দশমিক ১৪ শতাংশ। ঝিনাইদহ ২৬ টি কেন্দ্রে ১২ হাজার ২৯৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত হয় ১২ হাজার ২৭ জন । অনুপস্থিত ছিল ২৬৯ জন পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিতির হার ২ দশমিক ১৯ শতাংশ। মাগুরার ১৯ টি কেন্দ্রে ৫হাজার ২২০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত হয় ৫ হাজার ৫৪ জন । অনুপস্থিত ছিল ১৬৬ পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিতির হার ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ।
পরীক্ষা শুরুর আধা ঘন্টা আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার প্রতিটি কেন্দ্র সচিবদের মোবাইল ফোনে বিষয় কোড ও সেট কোডের মেসেজ দেয়া হয়। মেসেজ পাওয়ার পর পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মেসেজের সাথে প্রশ্নের সিকিউরিটির উপর লেখা বিষয় কোড ও সেট কোড মিলিয়ে সেই সেট কোডের প্যাকেট খোলা হয়। তারপর আবার এগুলো মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর সকাল ১১ টায় কক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রশ্ন বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান, যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অমল কুমার বিশ্বাস।
পরীক্ষা শুরুর আগে গত ৩০ অক্টোবর যশোর শিক্ষা বোর্ডে কেন্দ্র সচিবদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা হয়। সভায় কেন্দ্র সচিবদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্র সচিব ব্যতীত অন্য কেউ যেন মোবাইল ফোন ব্যবহার না করে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ নির্দেশনা মানা হয়নি বলে জানা গেছে।
যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, প্রথম দিনের পরীক্ষা সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রশ্ন ভাল হওয়ায় তারা ভাল পরীক্ষা দিয়েছে। যেসব কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়ে নির্দেশনা মানা হয়নি বলে অভিযোগ এসেছে, ওইসব কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিবরে পুনরায় এ বিষয়ে বলা হবে। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.