সনতচক্রবর্ত্তী: ফরিদপুর জেলা সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের পাল ডাঙ্গী ও ভাঙ্গি ডাঙ্গী গ্রামে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। এক সপ্তাহে এসব এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে পদ্মা নদীর গর্ভে। পানি কমতে শুরু করায় বেড়েছে ভাঙনের তীব্রতা। এতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
ফরিদপুরের পর্যটন স্পট ধলার মোড় বরাবর পদ্মা নদীর অপর পারে ভাঙ্গি ডাঙ্গী গ্রামের একমাত্র গোরস্থানটি এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে পদ্মায়। কাছেই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনেকগুলো ঘর। তারাও আশঙ্কায় রয়েছেন, কখন বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয়দের আশা, দ্রুত নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সরকার। তা নাহলে নদী ভাঙন কবলিত এই মানুষজন আবারও বাস্তুহারা হয়ে মানবেতর জীবনের ঝুঁকিতে পড়বে।
স্থানীয় বাসিন্দা সোনা মিয়া বলেন, এই চরে নদী ভাঙা মানুষ এক যুগ ধরে নতুন আশা নিয়ে ঘর বাড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করেছে। কৃষিকাজই আমাদের প্রধান জীবিকা। গত দুই সপ্তাহে প্রতিদিনই খেয়া ঘাটের পাশের ফসলি জমি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। পাড় ভাঙতে ভাঙতে নদী লোকালয়ের কাছে চলে আসছে। ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সময় অতিবৃষ্টিতে আর পানি কমার সাথে তীব্র স্রোতে ভেঙেই চলেছে পদ্মা। আমরা চরবাসী আতঙ্কে আছি।
আরেক স্থানীয় মাহাতাব আলী বলেন, ‘যেখানে এখন ভাঙন শুরু হয়েছে, তার অদূরেই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি হাসপাতাল। দ্রুত ভাঙন না ঠেকালে প্রতিষ্ঠান তিনটি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, এরই মধ্যে ভাঙন এলাকায় বালিভর্তি জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ডাম্পিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা যে টিউবগুলো ফেলছি সেগুলো স্রোতের তোড়ে সরে যাচ্ছে, তবু এগুলো ভাঙনের গতি কমাবে। শুকনো মৌসুমে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.