নিজস্ব প্রতিবেদক : রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আজ। বিভাগীয় এ গণসমাবেশ সফল করতে প্রস্তুত বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।

শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে রংপুর বিভাগে ৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু হলেও নানা কৌশলে দলে দলে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা রংপুরে এসে পৌঁছেছেন।

গণসমাবেশের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে গণসমাবেশের সভামঞ্চ। লাগানো হয়েছে ১৩০টি মাইক। সমাবেশের মাঠ ছাড়াও রংপুর নগরজুড়ে সড়কের দুই পাশে সাঁটানো হয়েছে ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন। নগরীর প্রবেশ পথে তৈরি করা হয়েছে তোরণ। বিকেলের পর থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ মাঠে আসেন। তাদের অনেকেই মাঠে অবস্থান করছেন।

শনিবার দুপুর ২টায় রংপুরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে এ গণসমাবেশ শুরু হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা গণসমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

সমাবেশ মাঠে শুয়ে থাকা ঠাকুরগাঁও থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রফিক বলেন, বাড়ি থেকে অনেক ভেঙে ভেঙে এসেছি। সৈয়দপুর পযন্ত আর কোনো গাড়ি নিয়ে আসেনি। একটা সিএনজি পেলেও সেটি বেশি দূর আসেনি। প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে এসেছি, এসে এখানে শুয়ে পড়েছি।

ঠাকুরগাঁও থেকে আসা জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবিনা আক্তার বলেন বলেন, আমরা এ অবৈধ সরকারের পতন চাই। আমার দেশনেত্রীর মুক্তি চাই। দেশে বাজারে যেভাবে নিত্যপণের দাম বাড়ছে তা থেকে মুক্তি চাই।

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর বিভাগীয় সমাবেশের সমন্বয়কারী এ জেড এম জাহেদ হোসেন বলেন, অবৈধ সরকারের টনক নড়ে গেছে। সারাদেশে গণজাগরণ দেখে ভয় পেয়েছে। সেজন্য সমাবেশের আগে বাস বন্ধ করে দিয়েছে। তবে আমাদের এ সমাবেশকে প্রতিহত করতে পারবে না তারা। জনসমুদ্রে পরিণত হবে কালেক্টরেট মাঠ।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন স্থানে গুলিতে দলের নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রংপুরে তাদের চতুর্থ বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে।