যশোর প্রতিনিধিঃ যশোর শহরের পালবাড়ি মোড় থেকে আড়বপুর মোড় পর্যন্ত মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে ১০ গজ দূরে দূরে তৈরি হয়েছে চার থেকে পাঁচটি স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। এলাকা জুড়ে ছাড়াচ্ছে পঁচা দূর্গন্ধ এবং বাতাসে মিশছে জীবানু। ফলে এ এলাকায় বসবাসকারী মানুষের স্বাস্থ্যঝুকি বেড়ে যাচ্ছে। পৌরসভার পরিছন্নকর্মীরা প্রতিদিন ময়লার ডাস্টবিন থেকে ময়লা নিয়ে গেলেও স্থায়ীভাবে অপসরণ হচ্ছে না এ ময়লার স্তুপে। তবে পৌর কতৃপক্ষ বলছেন এখানকার এনজিও সংস্থাগুলো বাড়ি বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ (হাউজ কালেকশান) করে এ সকল ময়লা ডাস্টবিনে না ফেলে মহাসড়কের পাশে গর্তে ফেলে স্তুপ তৈরি করেছে।

সরজমিনে পালবাড়ি মোড় থেকে আরবপুর পর্যন্ত যেতে যেতে দেখা যায়, মহাসড়কের বাম পাশে ৪ থেকে ৫ টি স্থানে এ ময়লাস স্তুপ করা হয়েছে। ফলে পঁচা দূর্গন্ধের মধ্যে দিয়ে রাস্তার ফুটপাত দিয়েও পথচারীদের হাঁটতে হলে নাক বন্ধ করে হাঁটতে হচ্ছে। দমকা হাওয়ায় এলাকা জুড়ে পড়ছে পলিথিন আর কাগজের টুকরা। সাথে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে জীবানু। এ সকল ময়লার স্তুপে কাক পক্ষী, গরু, এবং কুকুরেরও বিচরণ করতে দেখা যায়। এদিকে পৌরকতৃপক্ষ এ সকল ময়লার স্তুপ তৈরির পেছনে এনজিও সংস্থাগুলোর হাউজ কালেকশানকে দায়ী করলেও সরজমিনে নির্দিষ্ট কোন সংস্থার নাম বলতে পারেননি স্থানীয়রা।

স্থানীয় এক বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, ‘আমরা এখানে ভাড়া থাকি। আমাদের বাসার ময়লা আমরা প্রতিদিন বালতিতে করে এখানে এনে ডাস্টবিনে ফেলি। তবে দিন দিন দেখছি ডাস্টবিনের বাহিরে গর্তের মধ্যে কে বা কারা ময়লা ফেলে ময়লার স্তুপ তৈরি করেছে।’

আরো এক বাসিন্দা মারজিয়া বেগম বলেন, কোন এনজিও হাউজ কালেকশন করে তা সঠিক বলতে পারবো না। তবে সকালবেলা দেখি ভ্যানগাড়ীতে করে বাড়ি বাড়ি থেকে ময়লা নিয়ে যায়। এদিকে শুনি পৌরসভা থেকে নেয় আবার কেউ বলে এনজিওর পক্ষ থেকে এ ময়লা কালেকশন করা হয়।

এদিকে স্থানীয় কয়েকটি দোকান এবং ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তাদের মধ্যে একজন নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দোকানী বলেন, ‘এখানে একাধিক এনজিও সংস্থা আছে। তারা কিভাবে কোন সিস্টেমে ময়লা কালেকশন করে জানিনা। তবে আমাদের দেখা মতে তারাই এই ময়লার স্তুপ তৈরির জন্য দায়ী। পৌরকতৃপক্ষ এ সকল এনজিওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এ ধরনের পরিবেশ দূষণের কাজ থামবে না। ‘

এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন বলেন, আমাদের পৌরসভার পরিছন্নকর্মীরা ডাস্টবিন থেকে প্রতিদিন ময়লা সংগ্রহ করে নিয়াসে। কিন্তু ডাস্টবিনের বাহিরে এই ময়লার স্তুপ তৈরী করেছে এনজিও সংস্থার লোকজন। তারা বাড়ি বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করে এখানে এনে ফেলেন। এবিষয়ে তিনি এনজিও কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।