বেনাপোল প্রতিনিধিঃ দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ৭৪৯ বোতল ফেনসিডিল, ১৮৬ কেজি গাঁজা, বিপুল পরিমাণ বাজি ও ঔষধ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তবে, এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

বুধবার (১৫ জুন) রাত সাড়ে ১০ টার সময় বেনাপোল টার্মিনাল রোডের স্ক্যানিং মেশিনের সামনে থেকে এসব অবৈধ পণ্য উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।

নাভারণ সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে, বেনাপোল টার্মিনাল এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ভারতীয় ট্রাক (WB 75-A5175) আটক করা হয়। পরে ওই ট্রাক থেকে ৭৪৯ বোতল ফেনসিডিল, ১৮৬ কেজি গাঁজা, বিপুল পরিমাণ বাজিসহ ঔষধ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ইমরান।

সুত্রমতে, স্থলবন্দর অভ্যন্তর থেকে আমদানিকৃত পণ্য চুরি ও ভারত থেকে ভারতীয় ট্রাকে করে অবৈধ পণ্য বন্দর অভ্যন্তরে এনে তা বাইরে নেওয়ার জন্য গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।

সুত্রটি আরও জানায়, বন্দরের একজন সরকারী কর্মকর্তার নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয়েছে এ সিন্ডিকেট। এদের কৌশল হিসেবে ভারতীয় ট্রাক বন্দর অভ্যন্তরের স্ক্যানার মেশিনের নিকটস্থ এসেই গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে বলে প্রচার করা হয়। পুর্ব থেকে সিন্ডিকেটকে জানানো হয় গাড়ির নাম্বার। পরে অবৈধ পণ্য সামগ্রী বন্দর অভ্যন্তর থেকে বাইরে বের করে নেওয়ার পরেই গাড়ি আবার ঠিক হয়ে যায়।

জানা গেছে, মোটা অংকের টাকার চুক্তিতে বড় স্যারের অর্থ্যাৎ সিন্ডিকেট প্রধানের কৃপায় বাধাহীনভাবে এসব অবৈধ পণ্য বন্দরের বাইরে গেলেও দেখতে পান না বন্দরে নিয়োযিত নিরাপত্তা প্রহরী ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়াও আছে সিসি ক্যামেরা। স্যার বলে কথা। বন্দরের পণ্য লোড/আনলোডের ব্যবহারকৃত ক্রেন-ফর্কলিফট ঠিকাদারকেও বাধ্যতামূলক শতকরা ৩০ ভাগ হিস্যা দিতে হয় এই স্যারকে।