সারাবিশ্ব ডেস্ক : ভারতের উত্তরাখণ্ডে ৩৫ যাত্রী নিয়ে একটি বাস উল্টে গিয়ে খাদে পড়েছে। আর তাতে অধিকাংশ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। এরই মধ্যে ২০ জন নিহতের খবর জানা গেছে। অন্যদের উদ্ধারে কাজ করছে উদ্ধার কর্মীরাসহ স্থানীয়রা। সোমবার (৪ নভেম্বর) আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, নৈনিতাল জেলার অন্তর্গত রামনগরে আজ সকালে বাসটি খাদে পড়ে যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসটি দুর্ঘটনার অভিঘাতে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। ভিতরে এখনও কিছু যাত্রী আটকে আছেন। বাসটিতে ৩৫ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। কয়েক জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, তারা ঘটনাস্থল থেকে যে ভিডিও প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর ধারে একটি বাস উল্টে পড়ে রয়েছে। বাসের অধিকাংশ তুবড়ে গিয়েছে। স্থানীয় বহু মানুষ বাস থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। ওই অংশে নদী গভীর না হওয়ায় অনেকে নদী পেরিয়ে বাসের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছেন রাজ্যের উদ্ধারকর্মী ও পুলিশ।

উদ্ধারকারী দলের কর্মকর্তা বিনীত পাল বলেন, ১৫ জনের বেশি যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আমাদের দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা জানা যাবে।

এএনআই আলমোড়ার জেলা দুর্যোগ কন্ট্রোল রুমকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০ জন আহত। তবে অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে আরও বেশি মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে।

বাসটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ছিলেন বলে কেউ কেউ অভিযোগ করছেন। মহকুমাশাসক সঞ্জয় কুমার জানান, কয়েক জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ভেতরে অনেকেই এখনও আটকে রয়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। প্রশাসনের কাছে দুর্ঘটনাটির খবর যায় সকাল ৯টা নাগাদ। বাসে যে যাত্রীরা ছিলেন, তারাই কোনও রকমে খবর দেন। পুলিশ পৌঁছনোর আগে উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয়রাই।