ঢাকা অফিস : কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে হামলা ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিলের চেষ্টা করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে পুলিশ।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার বেলা ৩টার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থী। পরে সেখান থেকেজ গায়েবানা জানাজা শেষে কফিন মিছিল বের করার চেষ্টা করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে মিছিল লক্ষ্য করে একের পর এক সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘গায়েবানা জানাজা শেষে তারা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল শুরু করেন। সেখানে পুলিশ হামলা চালায়।’

ঢাকা টাইমসের সংবাদ প্রতিবেদক জানান, পুলিশ কিছুক্ষণ পর পর সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করছে। পাশাপাশি টিয়ারগ্যাস ছুড়ছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। বঙ্গবন্ধু হলে অনেক শিক্ষার্থী আটকে আছে। আতঙ্কের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীসহ অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভিসির বাসভবন ও আশপাশের নিরাপত্তার স্বার্থে ভিসির অনুমতিক্রমে মিছিল ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।’

এর আগে বিকেল চারটার দিকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ফুলার রোড দিয়ে মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আসেন। সেখানে আগে থেকে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার দেশের ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিদের জন্য এই গায়েবানা জানাজা ও কফিনমিছিলের কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। কর্মসূচির নির্ধারিত স্থান ছিল রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে। কিন্তু পুলিশের বাধায় তা পালন করতে পারেননি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এদিকে ঢাবি বিজয় তোরণ থেকে নীলক্ষেত রোড খুলে দেওয়া হয়েছে। বিকাল পাঁচটার পর অনেক শিক্ষার্থীকে এই সড়ক দিয়ে ব্যাগসহ হল থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে।