জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ এপ্রিল ১৩, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 1449 বার
গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : ঈদুল ফিতরের ছুটিতে রাজধানী ও আশেপাশের এলাকায় ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে এখন তিনজন মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাট এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যায়। এই সুযোগে মোটরসাইকেল চালকরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে। গতকাল রাত ১২টা থেকে আজ রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলেই ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এরমধ্যে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আরো অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন।
আমরা ঢাকা মেডিকেলের পক্ষ থেকে প্রতিটি দুর্ঘটনার খবর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি। তারাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। তিনি আরও বলেন, গুলশান, ডেমরা ও নরসিংদীতে নারীসহ এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন। তিনজনের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বুধবার বিকেলে রাধানীর সরদঘাটে লঞ্চের ছিঁড়ে যাওয়া দড়ির আঘাতে একই পরিবারের তিনজনসহ ৫জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন হলেন- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৪) এবং তাদের চার বছর বয়সী মেয়ে মাইশা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) ছুটে আসেন নিহত বেলালের স্ত্রীর ভগ্নিপতি জহিরুল ইসলাম। তিনি জানান, গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন বেলাল। স্ত্রী ও মেয়েসহ সেখানেই থাকতেন। ঈদের দিনে লঞ্চে করে পিরোজপুরে যেতে সদরঘাটে এসেছিলেন তারা।
তিনি জানান, বেলালের মা-বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। ঈদের দিনে স্ত্রী–সন্তান নিয়ে গ্রামে ফিরতে গিয়ে সেও প্রাণ হারালো। এতে বেলালের পরিবারে আর কেউ রইলো না। ১১ এপ্রিল বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সদরঘাটে দুই লঞ্চের মাঝখানে অপর একটি লঞ্চ ভেড়ানোর সময় পন্টুনে বেঁধে রাখা লঞ্চে ধাক্কা লেগে পাঁচজন নিহত হন। বেলালের পরিবার ছাড়াও দুর্ঘটনায় নিহত অন্যরা হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল (১৯) ও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।