খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ মার্চ ২১, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 4209 বার
আব্দুল্লাহ আল-মামুন : যশোরে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে সবজি বিক্রেতা সোহাগ ও হাবিবুর রহমানকে অপহরণ করে তাদের কাছ থেকে সাড়ে ৪লাখ টাকা ছিনতাই । অতপর আসল ডিবি পুলিশের কাছে ধরা ৭ ভুয়া ডিবি পুলিশ এ ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার (১৬ মার্চ ) রাতে।
ছাড়া পাওয়ার পরে ওই দুই সবজি বিক্রেতা ঘটনার পরের দিন যশোরে পুলিশের শরণাপন্ন হলে যশোর গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের সদস্যরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপহরণকারী ও ছিনতাইকারীদের সনাক্ত করেন। এরপর গতকাল বুধবার (২০শে মার্চ) গভীররাতে যশোরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ জন ভুয়া ডিবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এ সময় ডিবি পুলিশ তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করার ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জব্দ করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তেঘুরিহুদা গাজীর বাজার গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে হারুন অর রশিদ (৩৩), জেলার শার্শা টেংরাইল মাঝেরপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলী ছেলে হাসান (২৪), জেলার চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের মৃত হোসেন মোহাম্মদের গফফারের ছেলে ইসতিয়াক আহম্মেদ (২৪), যশোর সদর উপজেলার খড়কি বর্মন পাড়া এলাকার হানিফের ছেলে রাশেদ হাওলাদার (২৮), যশোর শার্শা নাভারণ রেল বাজার এলাকার মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে সোহেল আহম্মেদ বাবু (৩২), একই উপজেলার গোগা গাজিপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে উজ্জল হোসেন (৩০) ও বেনাপোলের পুটখালী গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩২)।
যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপণ কুমার সরকার বলেন, গ্রেফতারকৃতরা সবাই অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীদের অপহরণ করে তাদের কাছ থেকে টাকা সহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে আসছিল। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি অনুসন্ধান করে জানা যায় ওই দুই ব্যবসায়ী গত শনিবারে ঢাকা থেকে সবজি বিক্রি করে যশোরের চাচড়ার তরিকুল ইসলাম শাহিনের ২য় তলা ভবনের সামনে নামেন। এরপর একটি মাইক্রোবাস ডিবি পরিচয় তাদেরকে উঠিয়ে নেয়। তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে কেশবপুরের একটা ফাঁকা মাঠে ছেড়ে দেয়। ঘটনা স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদেরকে সনাক্ত করা হয়। এরপর গতকাল জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।