জেলার খবর, ঢাকা বিভাগ, ধর্ম, ফরিদপুর | তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 4304 বার
সনতচক্রবর্ত্তী:ফরিদপুরে বোয়ালমারী উপজেলার কয়ড়া কালী বাড়িতে দিনব্যাপী গঙ্গাস্নান ও গ্রামীণ মেলা জমে উঠেছে।
সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের কালিপুজা ও গঙ্গা স্নান উপলক্ষে দিনব্যাপিএ গ্রামীন মেলায় বিশাল এলাকা জুড়ে বসেছে সারি সারি হরেক রকমের দোকান।রয়েছে নাগরদোলা।
উপজেলার কুমার নদের তীরে প্রতি বছরের মতো এবারও বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থী যোগ দেয় এ স্নান উৎসব ও মেলায়। মেলাঙ্গন ঘিরে বসেছে তিন শতাধিক বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় ষ্টল। মেলায় সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান নিরাপত্তার নিযুক্ত বোয়ালমারী থানার পুলিশ সদস্যরা।
পাপ পরিত্রাণের জন্য ও দেশ, জাতির মঙ্গল কামনায় শনিবার ভোর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা এ নদে ফল,কলা-চিনি,দুধ ঢেলে ও স্নান করে মনো বাসনা পূর্নাথে প্রার্থনা পর্ব শেষ করে।কয়ড়া কালি মন্দিরের পক্ষ থেকে আগত ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
মুল মেলা শুরু হয় স্নান উৎসবের দিন থেকেই।মেলায় গ্রামীন বাশ বেত, চুড়ি ,মিষ্টি, খাবারের দোকান নাগর দোলা সহ বিভিন্ন ধরনের ষ্টল বসেছে।
মেলা জমে উঠায় খুশি দোকানী ও আয়োজনকারীরা। আয়োজকরা জানান, ২০০ বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী কালিপুজা ও গঙ্গা স্নান উপলক্ষে বিশাল এলাকা জুড়ে বসে মেলা। মেলা দেখতে হাজার হাজার পুণ্যর্থী ও দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে। মেলা জমে উঠাই খুশি আয়োজকরা।
অঞ্জনা নামে এক গৃহবধূ বলেন, প্রতি বছর এ দিনটির জন্য অপেক্ষা করি। গ্রামীণ মেলায় সবার সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়। মেলায় গ্রামীণ ঐতিহ্যের জিনিসপত্র, খাবার দাবার পাওয়া যায়। ভালো লাগে।
মেলায় ঘুরতে আসা শফিক মোল্লা ও রফিকুল ইসলাম বলেন, আগামীতে পরিবার নিয়ে আসবো তাই আগে থেকেই মেলার পরিবেশ দেখতে এসেছি তবে জায়গার তুলনায় মানুষের সমাগম বেশি। এছাড়াও পণ্যের দামও বাহিরের চেয়ে মেলায় বেশি মনে হয়েছে। পরবর্তীতে এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে নজরে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
উপজেলার ময়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কালিপদ চক্রবর্ত্তী জানান, প্রায়২০০ বছর ধরে কয়ড়া কালী পূজা ও গঙ্গা স্নানে পুণ্যার্থীরা অংশ নিচ্ছেন।
বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক মোঃ মামুন মিয়া জানান, গঙ্গাস্নান ও মেলা উপলক্ষে আগত পূণ্যার্থীদের যাতে কোন প্রকার সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। এ লক্ষ্যে জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং মেলা, মন্দির, ঘাট ও আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে