কেশবপুর, (যশোর) প্রতিনিধি : কেশবপুর ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক এ- হাসপাতালে গত বুধবার রাতে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ওই ক্লিনিক বন্ধ করে দেন। এ ব্যাপারে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কেশবপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নিহতের স্বজনরা জানান, মণিরামপুর উপজেলার হাসাডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী প্রসূতি শম্পা খাতুনকে (৩৫) কে বুধবার দুপুরে কেশবপুর শহরের ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক এ- হাসপাতালে সিজারের জন্য ভর্তি করেন। সন্ধ্যার পর কেশবপুর সরকারি হাসপতালে ডাক্তার নাজিয়া নওরীণ জিসান শম্পার সিজার করলে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সিজারের পর রোগির অবস্থা আশংকাজনক হলে ওই রাতেই শম্পাকে খুলনা রেফার করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। খুলনা যাওয়ার পথে রোগি মারা যায়।

সিজারের পর রোগি মারা যাবার ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন এবং হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আহসানুল মিজান রুমি বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ করে দেন।

ক্লিনিকের ম্যানেজার শফিকুর রহমান মিলন জানান, অপারেশনের পর রোগির প্রেসার বেড়ে যায় গিয়ে খিঁচুনি শুরু হয়। এরপর রোগির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা রেফার করা হয়। পরবর্তীতে রোগি মারা যায়। ডাক্তার নওরীণ জিসানের মোবাইলে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন জানান, সিজারের পর রোগি মারা যাওয়ার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ওই ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের গাইনী ডাক্তার আয়েশা আক্তারকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।