সারাবিশ্ব | তারিখঃ নভেম্বর ২০, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 1550 বার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম গিয়ে ‘ফাত্তাহ-২’। গত শনবিার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি আইআরজিসির এরোস্পেস ফোর্সের উদ্ভাবনী মেলা পরিদর্শনে গিয়ে এ ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেন।
কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান সহ বিশ্বের মাত্র চারটি দেশের কাছে এ ধরনের অস্ত্র প্রযুক্তি রয়েছে। গ্লাইড ও ক্রুজ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রটিকে এইচজিভি ও এইচসিএম হাইপারসনিক অস্ত্র বিভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।
‘ফাত্তাহ-২’ ক্ষেপণাস্ত্রটি যেকোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারবে বলে দাবি করেছে তেহরান। ওই দিন ইরানের তৈরি ‘গাজা’ ড্রোনও পরিদর্শন করেছেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। ইরান দাবি করেছে, গাজা ড্রোন একটানা ৩৫ ঘণ্টা আকাশে উড়তে পারবে এবং ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তু পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি আঘাত হানতে পারবে। এ চাড়া গাজা ড্রোন এক সঙ্গে ১৩টি বোমা বহন করতে পারবে।
১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইরানের ওপর। এসব নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কয়েক দশকের মধ্যে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রসীমায় ঈর্ষণীয় প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলেছে ইরান। সামরিক গবেষণার পাশাপাশি নতুন নতুন অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরি করে চলেছে দেশটি।
আল জাজিরা জানিয়েছে, বিশ্বের অন্যতম বড় ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী রয়েছে ইরানের। তাদের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইল ও ওই অঞ্চলে থাকা মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে আঘাত হানতে সক্ষম বলে দাবি করেছে তেহরান। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপী দেশগুলো বরাবরই ইরানের সামরিক কর্মসূচির বিরোধিতা করে থাকে। এসব বিরোধিতার পরিপ্রেক্ষিতে ইরান বলেছে, তারা ‘আত্মরক্ষামূলক’ ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী বন্ধ করবে না।