আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েল হামলা চালিয়ে যাওয়ায় গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ২০ হাজার ৩৬৩ ফিলিস্তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী ও কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডাব্লিউএ) পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় চাইছে। ইউএনআরডাব্লিউএ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত ৪৪টি ইউএনআরডাব্লিউএ স্কুল খান ইউনিস শহর ব্যতীত গাজার বিভিন্ন প্রদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ২৮টি আবাসনের জন্য সজ্জিত।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফা অনুসারে, ইউএনআরডাব্লিউএর মিডিয়া উপদেষ্টা আদনান আবু হাসনা বলেছেন, আশ্রয়প্রার্থী বাস্তুচ্যুত জনসংখ্যা প্রাথমিকভাবে উত্তর গাজা, পূর্ব সীমান্ত ও দক্ষিণ গাজায় কেন্দ্রীভূত।

সশস্ত্র সংঘাত অব্যাহত থাকায় আগামী কয়েক ঘণ্টায় এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন হাসনা।

এদিকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার আহতসহ ৪ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস শনিবার ইসরায়েলে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা চালায়, গাজা থেকে ছোড়া রকেটের ঢেউয়ের সঙ্গে বন্দুকধারীরা ইসরায়েলে প্রবেশ করে। এক নজিরবিহীন হামলায় ৬ শত মানুষ নিহত এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

আক্রমণটি গাজা উপত্যকা থেকে অজানাসংখ্যক হামাস বন্দুকধারীর ইসরায়েলে অভূতপূর্ব অনুপ্রবেশকে চিহ্নিত করেছে। এটি প্রায় দুই দশক আগে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার আত্মঘাতী বোমা হামলার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে বড় আঘাত।

সূত্র : আল অ্যারাবিয়া