কক্সবাজার, চট্টগ্রাম বিভাগ, জেলার খবর | তারিখঃ জুলাই ৬, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 7097 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের টেকনাফের বার্মিজ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনের লেলিহান শিখায় কাপড়, জুতা-স্যান্ডেল, কসমেটিক ও মুদিখানাসহ নানা ধরনের দেড় শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। মালামালের পাশাপাশি পুড়ে গেছে নগদ টাকা ও অন্য সরঞ্জামও। এ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের।
গত বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বার্মিজ মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পুড়ে যাওয়া মার্কেটটির পাহারাদার মোহাম্মদ কাইয়ুম বলেন, গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে মার্কেটে হঠাৎ আগুন জ্বলে ওঠে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত চারদিক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট, পুলিশ ও বিজিবি, উপজেলা প্রশাসনের সদস্যসহ স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর ভোর ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে দেড়শর অধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টেকনাফ স্টেশনের কর্মকর্তা মুকুল কুমার নাথ বলেন, টেকনাফ পৌরসভার বার্মিজ মার্কেটে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ছুটে যাই। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। প্রাথমিক ধারণা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, পৌরসভার বার্মিজ মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয় লোকজনসহ ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ, বিজিবির সদস্যরা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণসহ দোকানে আটক পড়া লোকজনদের উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এ ঘটনায় দেড় শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে। ভস্মীভূত হয়ে গেছে সিংহভাগ মালামাল। এতে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। টেকনাফ থানার ওসি মো. আবদুল হালিম বলেন, সবাই মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার পাশাপাশি দোকানের ভেতর রাত্রিযাপন করা ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের বের করার চেষ্টা করেছি। তাই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সকালেও মার্কেট এলাকায় ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখা গেছে। তা নেভানোর কাজ চলছে।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা বলেন, গত একযুগে কক্সবাজারে একসঙ্গে এতগুলো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সান্ত¡না দেওয়ার ভাষা পাঁচ্ছি না। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণে চেম্বার চেষ্টা চালাচ্ছে।