আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলীয় বিভিন্ন শহরে হামলা জোরদার করেছে রুশবাহিনী। উমানের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চার শিশুসহ ২৫ জন নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের পাল্টা হামলায় দোনেৎস্কে ৯ জন নিহত নিহত হয়েছে। এ হামলার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এদিকে অধিকৃত অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয়দের বিতাড়িত ডিক্রি জারি করেছে রাশিয়া।

৫১ দিন পর আবারও ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ভোরের আলো ফোটার আগে রাজধানী কিয়েভ, মধ্যাঞ্চলীয় উমান এবং ডিনিপ্রো শহরে একের পর এক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী।

এ হামলার জবাব দিতে অধিকৃত দোনেৎস্ক শহরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাল্টা হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১৬ জন।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর উমানে একটি অ্যাপার্টমেন্টে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে শিশুসহ বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রেমেনচুকেও বিস্ফোরণে প্রাণহানি হয়েছে।

হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এখনই রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা নেয়া জরুরী বলে জানিয়েছেন তিনি। টুইবার্তায় বলেছেন, তাদেরকে শুধু অস্ত্র দিয়ে থামানো যাবে না। স্যাঙ্কশন জোরদার করার আহ্বান জানান জেলেনস্কি।

ডিপিআরের সমন্বয় কেন্দ্র বলেছে, ইউক্রেনীয় বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় শহরের মধ্যে ছয় নারীসহ নয় জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আট বছর বয়সি একটি মেয়েও রয়েছে।

সিএনএন নিহতের খবর নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে বেসরকারি টেলিগ্রামে শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক ক্ষতির ভিডিও এবং ছবি প্রকাশ করেছে।

অন্যদিকে মস্কো বলছে, তারা বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় না। এছাড়া, প্রেসিডেন্ট পুতিন নতুন ডিক্রি জারি করেছেন। ডিক্রি অনুযায়ী ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চলে কোনো নাগরিককে হুমকি মনে করলে তাকে বহিষ্কার করা যাবে।