আবুল কাশেম, ঢাকা থেকে : সমাবেশের প্রশাসনিক অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই দলে দলে গোলাপবাগ মাঠে যাওয়া শুরু করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। শনিবার (৯ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় এই মাঠে শুরু হবে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ। প্রশাসনের সঙ্গে বহু দেনদরবারের পর শুক্রবার বিকালে সমাবেশ অনুষ্ঠানের স্থান নির্ধারণের বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসে।

শুক্রবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দলীয় নানা স্লোগানে মাঠে ঢুকছেন নেতাকর্মীরা। গোলাপবাগ মাঠ ছাড়াও এর আশেপাশের এলাকায় অনেকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। বিকাল থেকে সন্ধ্যা গড়ানোর সঙ্গে গোলাপবাগ মাঠে মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এছাড়া আশপাশের গলিতে যানজটও বাড়ছে। সন্ধ্যার পর নেতাকর্মীদের উপস্থিতি প্রায় পূর্ণ হয়ে যায় মাঠ।

সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন। তাদের কেউ শুক্রবার সকালে এসেছেন, আবার কেউ একদিন আগে এসেছেন। তারা বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে চান এবং আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান। পাশাপাশি সমাবেশে আসার পথে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন অনেকে।

গাজীপুর মহিলা দলের কয়েকজন নেত্রী বলেন, ‘সমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার সকালে তারা ঢাকা এসেছেন। সবাই আত্মীয়-স্বজনের বাসায় ছিলেন।’

সমাবেশে সিরাজগঞ্জ থেকে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেন, ‘আমরা ১০ জনের একটি দল সমাবেশ উপলক্ষে ঢাকায় এসেছি। কিন্তু আমাদের দুজনকে পুলিশ আটক করেছে। আমাদের মামলা-হামলা করে দমিয়ে রাখা যাবে না। পুলিশ দিয়ে কোনোভাবেই জনগণকে থামিয়ে দেওয়া সম্ভব না। আমাদের এই মাঠে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও এ জায়গা পর্যাপ্ত নয়। তবুও যেকোনো অবস্থায় দলের সিদ্ধান্ত মানতে আমরা প্রস্তুত।’

ফরিদপুর থেকে আসা আরেক কর্মী জানান, শনিবারের এই সমাবেশ শুধু বিএনপির সমাবেশ নয়, এ সমাবেশ গোটা বাংলাদেশের। বাংলাদের সব প্রান্ত থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসেছেন। তাদের নানাভাবে হয়রানি করছে পুলিশ। তবে পুলিশি বাধা পেরিয়ে সমাবেশ সফল হবেই। আমরা জিয়ার সৈনিক, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজপথে আছি, থাকব।

কয়েক দফায় আলোচনার পর শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর গোলাপবাগে সমাবেশ করার অনুমতি পায় বিএনপি। তবে এখানে সমাবেশ করার জন্য আগের দেওয়া ২৬ শর্ত বহাল রেখেছে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।