এসএম স্বপনঃ ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগ। রবিবার বিকেল ৪টার সময় ছোটআঁচড়া মোড়ে বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হয়।

বাংলাদেশ যতদিন থাকবে আওয়ামী লীগ জনগণের দল হিসেবে মানুষের হৃদয়ে আওয়ামী লীগ ততদিন বেঁচে থাকবে। বোমা হামলা, হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে জনগণের মন থেকে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা যাবেনা। বেনাপোলে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু এ কথা বলেন।

শার্শা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম মন্টুর সভাপতিত্বে ও বেনাপোল পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু আরো বলেন, ১৯৭১, ৭৫ ও ২১ আগষ্টের খুনিরা বারংবার বিভিন্ন রুপ নিয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংশ করতে দেশের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠন আওয়ামীলীগকে হত্যা করার চেষ্টা করছে। এরা কোনভাবেই বাংলাদেশের উন্নয়ন সহ্য করতে পারছেনা। তাদের একমাত্র ধ্যানই হচ্ছে আওয়ামীলীগকে হত্যা করতে পারলে তারা পূণরায় বাঙালি জাতিকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে হাড্ডি মাংশ ঝলসে খাবে। যেকারণে তারা ৭১’এ পরাজিত হয়ে ৭৫’র ১৫ আগষ্ট জাতির জনককে হত্যা করে। সেখানেই ক্ষ্যান্ত হয়নি তারা। হত্যা করেছিল জাতির জনকের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেছাকে। একেএকে হত্যা করেছিল বঙ্গবন্ধুর সন্তান পরিজনসহ নিকটাত্মীয়দের। মহান দয়ালু আল্লার অশেষ মেহেরবাণীতে সেদিনের কালো অধ্যায়ের থাবা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন বাঙালীর নবপ্রাণ জাগরণীর মহিয়সি ২ কণ্যা। সেদিন বিদেশ থাকার উঁছিলায় বেঁচে গিয়েছিলেন আজকের আওয়ামীলীগের চৌকষ সভাপতি ও বাংলাদেশ উন্নয়নের কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনা।

এসময় তিনি আরো বলেন, যখন সেই হায়েনার দল বুঝতে পারলো জাতির জনকের কণ্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনা বেঁচে আছে তখন তারা এদেশের হাল আবার ধরবে, উন্নয়নের খাতায় লেখা আসবে সোনার বাংলাদেশ। এরা তা মেনে নিতে পারেনি, পূণরায় বঙ্গবন্ধুর সন্তানকে হত্যার মিশন নিয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট ইতিহাসের বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা চালায়। রাখে আল্লাহ, মারে কে! সেদিনের মিশনেও বেঁচেগিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু ঘাতকদের বুলেটে প্রাণ যায় ততকালিন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী আইভি রহমানসহ অনেকের। তাদের নিষ্টুরতায় সেদিনের ঘটনায় আজো অনেকে পঙ্গুত্ব মেনেনিয়ে ধুকে ধুকে মরছে।

এসময় প্রধান বক্তা হিসেবে আরো বক্তব্য প্রদাণ করেন যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক ও যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সম্মেলন কমিটির আহবায়ক আসাদুজজামান মিঠু।

এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সম্মেলন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ নূরে আলম সিদ্দিকী মিলন, ইমামুল কবির, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, যশোর জেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক সালমা আলম, শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ, সাধারণ সম্পাদক সোহারব হোসেন,বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এনামুল হক মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন- সাধারণ সম্পাদক, শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, বেনাপোল পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুলফিকার আলী মন্টু, শার্শা উপজেলা বাস্তহারালীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী, শার্শা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক কামাল হোসেন, মোকলেছুর রহমান কাকন, নাজিম উদ্দীন রাব্বি, মাসুদুর রহমান সুমন, বেনাপোল পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আহাদুজ্জামান বকুল, যবিলীগ নেতা ফারুক হোসেন উজ্জল, শ্রমিকলীগের আহবায়ক রাজু আহমেদ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম।

উক্ত সমাবেশে বেনাপোলের প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। এসময় স্থানীয় আওয়ামীলীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।