আব্দুল্লাহ আল-মামুন : গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বুধবার সকালে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর যশোরের শার্শার ভূমিহীন ও গৃহহীন ৩০টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের ঘরের চাবি ও দলিল। নিজেদের স্থায়ী ঠিকানা পেয়ে মহা খুশি এই ছিন্নমূল মানুষগুলো। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘজীবন কামনা করেন।

শার্শা উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল’র সভাপতিত্বে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন।

আওয়ামী লীগ নেতা অহিদুল হক পুটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া ফেরদৌস, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল, শার্শা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়াসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব।

এ সময় সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে ভূমিহীনদের ঘর দেওয়ার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো দু:স্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।’ জাতির জনক দেশকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত করে বাংলাদেশের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে একটি উন্নত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন দিতে চেয়েছিলেন। এর জন্য আওয়ামীলীগ সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কোথাও কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন রয়েছে কিনা তা জানতে তালিকা তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের লক্ষ্য প্রত্যেক ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। সরকার প্রধান চাই, প্রতিটি মানুষ বাড়ি, আশ্রয় এবং জীবিকার সুযোগ পাক। কেউ সমাজের বোঝা হয়ে থাকবে এটা প্রধানমন্ত্রী চাই না। তিনি চাই প্রত্যেকে নিজের পায়ে দাঁড়াবে এবং যথাযথ সম্মানের সাথে দেশে বসবাস করবে।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়া জানান, ইতিমধ্যে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১৮৮টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ২ শতাংশ জমিসহ গৃহ প্রদান করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ভূমি ও গৃহহীনদের আবেদন সংগ্রহ করে তাদের জমি ও ঘর প্রদান করা হয়েছে। এরপরও যদি ভূমি ও গৃহহীন কাউকে পাওয়া যায় তবে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আবাসন প্রকল্পে তাকে বরাদ্দ প্রদান করা হবে। তিনি আরো জানান, সেখানে ৪৬টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে বরাদ্দ দেবার জন্য গৃহ নির্মান কাজ চলছে।