নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আনোয়ার হোসেন : দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলে পণ্যবাহী ট্রাকে সোনাসহ মাদক পাচার বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্দরের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য হুমকিতে পড়ছে।

জানা গেছে, স্থলবন্দর বাংলাদেশ অংশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় এসব সোনার চালান আটক হচ্ছে ভারতে। এমন অবৈধ পাচার কার্যক্রমে বাণিজ্যিক ভাবে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীগন।

ভারতের সঙ্গে দেশের পণ্য আমদানি রফতানিতে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল। এদিকে বাংলাদেশী পণ্যের গুণগত মান ভালো হওয়ায় প্রতিদিন চাহিদা বাড়ছে ভারতে। তবে বৈধপথে পণ্যবাহী ট্রাকে সোনা, মাদক পাচার নিরাপদ এ বাণিজ্যকে হুমকির মুখে ফেলছে।

সীমান্ত সূত্র অনুযায়ী, গত ৬ মাসে রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক তল্লাশি করে প্রায় ২০ কোটি টাকার সোনার বার আটক করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং গত মাসের ১৮ মার্চ মাছ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরার মোস্তফা অর্গানিকের ট্রাক তল্লাশি করে মাছের কার্টন থেকে বিএসএফ আড়াই কোটি টাকার সোনার বারসহ ট্রাক চালককে আটক করেছে।

বন্দরে পণ্যবাহী সকল ট্রাক স্ক্যানিং করে ভারতে আমদানি রফতানি পণ্য আনা-নেয়া করলে পাচার রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন বেনাপোল সি এন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের কার্গো বিষয়ক সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম।

এদিকে এমন অবৈধ পাচার কার্যক্রম ভারতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মান ক্ষুন্ন, ভাবমূর্তি হুমকিতে ফেলছে বলে মনে করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

বেনাপোল সি এন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট বিষয়ক সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ বিপুল জানান, যারা বন্দরের ও দুই দেশের বাণিজ্যিক পরিবেশ ও সম্পর্ককে বাধাগ্রস্ত করছে; তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

আর বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, উভয় দেশের পক্ষ থেকে পাচার বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এর ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।