শীতকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে রাজগঞ্জের লেপ-তোষক তৈরীর কারিগররা
উত্তম চক্রবর্তী,মণিরামপুর(যশোর)অফিস৷
সরেজমিনে মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারের লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি লেপ ও তোষক তৈরিতে ৫-৬ কেজি তুলা ব্যবহার করা হয়। আকার ভেদে ৫শ’ থেকে দুই হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়। একটি তোষক তৈরি করতে ৮-১৫ কেজি তুলা লাগে, বিক্রি হয় ৬শ’ থেকে ১৫শ’ টাকায়। একটি জাজিম তৈরিতে ৩০-৫০ কেজি তুলা ও নারিকেলের খোসা প্রয়োজন হয়। আকার ভেদে তা বিক্রি হয় ১৫শ’ থেকে চার হাজার টাকায়।
বাজারের ব্যবসায়ীরা আরো জানান, বছরের অন্যান্য সময় মাসে ২-৪ জন তোষক কিনতে আসলেও লেপের চাহিদা একেবারেই থাকে না। শীতের শুরু থেকে অন্তত চারটি মাস লেপ-তোষক বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে লেপ। যে কারণে চাহিদার কথা মাথায় রেখে লেপ সেলাই কর্মীদের সংখ্যাও বাড়াতে হয়। রাজগঞ্জ বাজারের মহসিন ও কামাল জানান, শীতের সময় কাজের চাপ থাকে। গড়ে প্রতিদিন একজন কারিগর ৩-৪টি লেপ-তোষক তৈরি করতে পারেন। আরো জানান, গত শীতের তুলনায় বিভিন্ন প্রকার তুলা ও কাপড়ের দাম অনেক বেড়েছে। এ কারণে প্রতিটি লেপ-তোষকে আকার ভেদে ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা বেশি খরচ পরছে। সরকার যদি আমাদের মত এই সব ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের বিনা সুধে লোনের ব্যবস্তা করতেন তাহলে আমরা ব্যবসা আরো বড় করে করতে পারতাম।