ফেরত দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছ থেকে নেওয়া চাঁদার টাকা
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিশ্বব্যাপী দাবানলের মত ছড়িয়ে পরা করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত জনজীবন, লন্ডভন্ড দেশের অর্থনীতি। বৈশ্বিক এই মহামারির সময়েও চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কোথাও কোথাও উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাও এর সঙ্গে জড়িত বলে জানাগেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেক উপজেলায় শিক্ষকদের মাথাপিছু ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এতে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ।
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লকডাউনের মধ্যেই তাদের দিয়ে স্থানীয় বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের তথ্য সংগ্রহের কাজ করানো হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষার বিভাগীয় উপপরিচালকের টেলিফোনিক নির্দেশে এই তথ্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
‘প্রাথমিক শিক্ষকদের ১ হাজার টাকা চাঁদা অথবা ১ দিনের বেতন দিতে হচ্ছে’ শিরোনামে আমাদের বাণী ডট কম এ ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর ও প্রাথমিক শিক্ষকদের তীব্র প্রতিবাদে করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের সহায়তার জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছ থেকে কোনো ধরনের চাঁদা নেয়া যাবে না জানিয়ে আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ইতোমধ্যে শিক্ষকদের কাছ থেকে নেয়া চাঁদা ফেরত দেয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে গত ২২ এপ্রিল প্রাথমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ ফসিউল্লাহ স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় এ তথ্য জানা গেছে।