অসহায় দুঃস্থদের মাঝে রান্না খাবার পরিবেশন করে চলেছেন শার্শা’র উদ্ভাবক মিজানুর রহমান
মোঃ সাইদুল ইসলাম : মহামারী কোভিড-১৯, করোনা ভাইরাসের কারণে সমগ্র দেশে লকডাউনের কারনে কর্মহীন হয়ে ঘরবন্দী হয়ে আছেন দেশের মানুষ । জীবন-জীবিকা রক্ষার্থে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় অনেকে খেয়ে পরে জীবন বাঁচিয়ে চলেছেন। আবার কেউ কেউ সরকারি অনুদান গ্রহণ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। লকডাউন এর কারণে বাজার এলাকায় হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে রাস্তায় পড়ে থাকা মানসিক বিকারগ্রস্ত (পাগল) ও প্রতিবন্ধীরা। হোটেল রেঁস্তোরার ওপর নির্ভর করা এসকল মানুষদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কোনো সময় খাদ্য খাবার বিতরণ করা হলেও নিয়মিত ভাবে তা করা হচ্ছে না। ফলে অধিকাংশ সময় তাদেরকে না খেয়েই দিনরাত পার করতে হচ্ছে। তবে দেশের এই ক্রান্তি সময়ে পথে পড়ে থাকা মানুষগুলোর জন্য অনেকেই এগিয়ে এসেছেন রান্না করা খাবার তাদের মুখে তুলে দিচ্ছেন। বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা এসকল অসহায় বিকলাঙ্গ মানুষদের জন্য রান্না করা খাবার বিতরণ করে চলেছেন যশোর জিলার শার্শা উপজিলার শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবক মিজানুর রহমান। শুধু মানুষ নয় রাস্তায় পড়ে থাকা অবলা জন্তু, কুকুর, বিড়াল এবং পশু-পাখীদেরকেও খাবার দিচ্ছেন তিনি। ব্যতিক্রমী এ কাজের জন্য অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উদ্ভাবক মিজানুর জানিয়েছেন, প্রতিদিন রান্না করা খাবারের মধ্যে থাকে কখনো সাদা ভাত, একটি ডিম, আলুসহ বিভিন্ন ধরনের তরকারি, কখনো কখনো মাংস দিয়ে খিঁচুড়ি দেওয়া হয়। অসহায় দুঃস্থদের পাশাপাশি ভ্যান-রিকশা চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে দেওয়া হয়। করোনার এই মুহুর্তে মাক্স এবং হ্যান্ড গ্লাভসও দিয়ে থাকি। নিজ অর্থায়নের পাশাপাশি এ ব্যাপারে যদি কেউ আমাকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে চায়, সেই সহযোগীতা আমি কামনা করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি গ্রামের সংবাদকে বলেন, গত এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখ থেকে আমি এই কর্মসুচি চালিয়ে যাচ্ছি। এ পর্যন্ত আমি বেনাপোল, সাড়াতলা, পাকশিয়া, কাশিপু র, শাহাজাদপুর, চৌগাছা, কলাগাছি, গদখালি, বেনেয়ালী , হাজেরালী, ঝিকরগাছা,নাভারন, উলা শী, জামতলা, সাতমাইল, বাগআঁচড়া, না ভারন রেলস্টেশন সমুহে খাদ্য পরিবেশন করেছি। এ কাজে আমার পাশে থেকে সহযোগীতা করেছেন শার্শা এলাকার তরুন সমাজ সেবক আসাদুজ্জামান সাঈদ।
তিনি বলেন, লকডাউন মুহুর্তে খাদ্য বিতরন কালীন সময় আইন শৃঙ্খলার কাজে আমাকে সর্বোতভাবে সহায়তা প্রদান করেছেন শার্শা উপজিলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ খোরশেদ আলম চৌধুরী এবং সাংবাদিক ভাইয়েরা। আমি তাদেরকে এবং প্রশাসন পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই।